শিক্ষামূলক ছোট হাদিস । ইসলামিক জীবনের পথপ্রদর্শক

শেয়ার করুন

শিক্ষামূলক হাদিসগুলি হল ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ, সুন্দর এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত করতে সাহায্য করে। এই পোস্টে আমরা কিছু শিক্ষামূলক ছোট হাদিস সম্পর্কে জানব যা সহজে মনে রাখা যায় এবং জীবনে প্রয়োগ করা যায়।

শিক্ষামূলক ছোট হাদিস নং : ১ । আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে দীনের জ্ঞান দান করেন

عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي سُفْيَانَ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم : مَنْ يُرِدِ الله به خيرا يُفَقِّهْهُ في الدين

অনুবাদ: মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিফয়ান (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ যার কল্যাণ চান, তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করেন।’

সূত্র: সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর ৭১ এবং সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর ১০৩৭।

শব্দের অর্থ : يُفَقِّهْهُ : অর্থাৎ তিনি তাকে শরীয়তের বিধান সম্পর্কে জ্ঞানী করে তোলেন।

হাদিসের ব্যাখ্যা

আল্লাহ যার কল্যাণ আল্লাহ চান, তাকে তিনি শরীয়তের বিধান সম্পর্কে জ্ঞানী ও অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন করে তোলেন।

হাদিস থেকে শিক্ষামূলক দিক

১। যে ব্যক্তি দ্বীনের জ্ঞান থেকে বিমুখ হয় তার জন্য আল্লাহ কল্যাণ চান না।
২। যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা করে, আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন; কারণ আল্লাহ তার জন্য কল্যাণ চান এবং তাকে দ্বীনের জ্ঞান ও ফিকহ দান করেন।

হাদিস ২ : কুরআন শিক্ষা করা ও শিক্ষা দানের মর্যাদা

عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ “خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ

অনুবাদ: উসমান ইবনে আফফান (রাদি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে কুরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।’

সূত্র: সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর ৫০২৭।

বিশেষ শব্দার্থ: خيركم: তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি।

হাদিসের ব্যাখ্যা

এই হাদিসে কুরআন শিক্ষা করা ও শিক্ষা দানের গুরুত্ব এবং মর্যাদা বর্ণিত হয়েছে। কুরআন শেখা, সংরক্ষণ, তিলাওয়াত করা, এবং তার নির্দেশাবলী অনুযায়ী কাজ করাকে এখানে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। এ ছাড়া, জ্ঞানার্জনের পর তা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা ও জ্ঞানী ব্যক্তির মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে।

শিক্ষামূলক ছোট হাদিস ৩ : জ্ঞান অর্জন ফরজ

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رضي الله عنه عن النبي ﷺ قَالَ: “طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيْضَةٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ

অনুবাদ: আনাস ইবনে মালিক (রাদি) রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন, ‘জ্ঞান অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ।’

সূত্র: ইবনু মাজাহ, হাদিস নম্বর ২২৪ (সহিহ)।

বিশেষ শব্দার্থ: طلب العلم: জ্ঞান অনুসন্ধান করা ও তা অর্জনে পরিশ্রম করা।

হাদিসের ব্যাখ্যা

জ্ঞান হচ্ছে আল্লাহকে জানা এবং তার উপর বিশ্বাস স্থাপনের পথ। মানব জাতির কল্যাণ ও সংশোধনের উপায়। ইসলাম অজ্ঞতার বিরুদ্ধে দৃঢ়কণ্ঠ।

হাদিস থেকে শিক্ষামূলক বিষয়

১. জ্ঞান অর্জন প্রতিটি মুসলমান পুরুষ ও নারীর জন্য ফরজ।
২. ধর্মীয় জ্ঞান সর্বশ্রেষ্ঠ ও মর্যাদাপূর্ণ।

হাদিস ৪ : পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ

عَنْ أَبِي مَالِكٍ الأَشعَرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ “الطُّهُورُ شَطْرُ الإِيْمَانِ”

আবু মালিক আশআরী (রাদি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, “পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক।”

সূত্র: সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর ৫৫৬।

বিশেষ শব্দার্থ :

  • الطهور: পবিত্রতা, পরিষ্কার করা।
  • شطر: অর্ধেক।

হাদিসের ব্যাখ্যা

সত্যিকারের ঈমান অন্তরের ও বাহিরের পবিত্রতা অন্তর্ভুক্ত করে। অজু বাহ্যিক পবিত্রতা দেয় এবং এটি ইঙ্গিত দেয় যে অজু ঈমানের অর্ধেক।

হাদিস থেকে শিক্ষামূলক বিষয়

১. বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় দিক থেকে পবিত্র থাকার গুরুত্ব।

হাদিস ৫ : লজ্জাশীলতা পাপ থেকে বিরত রাখে

عَنْ عبدِ اللهِ بنِ عمرَ رضي الله عنهما، عن النبي ﷺ قَالَ: “اَلْحَيَاءُ مِنَ الْإِيْمَانِ

অনুবাদ: আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযি) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “লজ্জাশীলতা ঈমানের একটি শাখা।”

সূত্র: সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর ২৪ এবং সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর ৩৬।

শব্দার্থ:

  • الحياء: এমন চরিত্র যা ভালো কাজ করতে এবং খারাপ কাজ বর্জন করতে উৎসাহিত করে।

হাদিসের ব্যাখ্যা

নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুনলেন, এক লোক তার ভাইকে বেশি লজ্জা পরিহার করতে উপদেশ দিচ্ছিল। তখন তিনি বললেন, লজ্জা ঈমানের অঙ্গ। লজ্জাশীলতা শুধু কল্যাণই বয়ে আনে। লজ্জাশীলতা একটি সুন্দর চরিত্র যা ভালো কাজ করতে এবং খারাপ কাজ বর্জন করতে উৎসাহিত করে।

হাদিস থেকে শিক্ষামূলক দিক

  • ১. যে লজ্জা ভালো কাজ করতে বাঁধা দেয় তা মূলত লজ্জাশীতা নয়; বরং তাকে বলে লাজুকতা, অপারগতা, ভীরুতা, এবং কাপুরুষতা।
  • ২. মানুষের প্রতি লজ্জাশীলতা হলো তাদেরকে সম্মান করা, তাদের মর্যাদা অনুযায়ী মূল্যায়ন করা এবং সাধারণত যা মন্দ তা বর্জন করা।

হাদিস ৬ : সর্বপ্রথম বান্দার যে সব আমলের হিসাব নেওয়া হবে

عَنْ أَبِى هُرَيْرةَ رضي الله عنه، عن النبي ﷺ قَالَ: “أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ العَبْدُ يَوْمَ القِيَامَةِ الصَّلاَةُ”

অনুবাদ: আবু হুরাইরা (রাদি.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার নামাজের হিসাব হবে।’

সূত্র: আবু দাউদ, হাদিস নম্বর ৮৬০।

শব্দার্থ:

  • يحاسب: হিসাব নেওয়া; এর অর্থ হচ্ছে কোনো কিছুর পরিমাণ বা সংখ্যা নির্ধারণ করা।

হাদিসের ব্যাখ্যা

নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। এর দ্বারা ইসলামে শাহাদাহ এর পর অন্যতম প্রধান স্তম্ভ নামাজের গুরুত্ব প্রমাণিত হয়। যদি বান্দার নামাজ পরিপূর্ণ হয় এবং সে তা যথাসময়ে আদায় করে, তবে তাকে সম্পূর্ণ হিসাব প্রদান করা হবে।

হাদিস থেকে প্রাপ্ত শিক্ষামূলক দিক

১. নামাজের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি এবং কিয়ামতের দিন প্রথমে এটির হিসাব নেওয়া হবে।

হাদিস ৭ : নবী মুহাম্মদ (সা.) এর উম্মতের একটি বৈশিষ্ট্য

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رضي الله عنهما قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ “جُعِلَتْ لِيَ الأَرْضُ مَسْجِدًا وَ طَهُورًا”

অনুবাদ: জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাদি) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “আমার জন্য পৃথিবীকে বানানো হয়েছে মসজিদ ও পবিত্রতার উপকরণ।’

সূত্র: সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর ৩৩৫।

শব্দার্থ:

  • مَسْجِدًا: সালাত আদায়ের স্থান, যেখানে সিজদা করা হয়।
  • وَطَهُورًا: এমন কিছু যা দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যায়, যেমন তায়াম্মুম।

হাদিসের ব্যাখ্যা

আল্লাহ তাআলা নবি মুহাম্মদ (সা.) ও তার উম্মতের প্রতি দয়া করে তাদের জন্য সমস্থ পৃথিবীকে পবিত্র ও সালাত আদায়ের উপযোগী করে দিয়েছেন। পূর্বের উম্মতদের মতো তাদের সালাতের জন্য নির্দিষ্ট উপাসনালয় বা গীর্জার প্রয়োজন ছিল না; তারা পৃথিবীর যে কোনো স্থানে সালাত আদায় করতে পারে। আল্লাহ এই উম্মতের থেকে কষ্ট ও সংকীর্ণতাকে দূর করে দিয়েছেন। পূর্বের উম্মতগণ শুধুমাত্র পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করতে পারত, কিন্তু এই উম্মতের জন্য মাটি দ্বারা তায়াম্মুমের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।

হাদিস শিক্ষামূলক দিক

  • ১. সালাতের গুরুত্ব।
  • ২. আল্লাহ তাআলা নবী মুহাম্মদ (সা.) ও তার উম্মতকে এই বৈশিষ্ট্য ও সম্মানে ভূষিত করেছেন যা অন্যান্য নবীদের উম্মতদের জন্য ছিল না।

হাদিস ৮ : অন্যদের উপকার করা ও ভালো কাজের প্রতি উৎসাহ প্রদান

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رضي الله عنهما، عن النبي ﷺ قَالَ: “كُلُّ مَعْرُوفٍ صَدَقَةٌ”

জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাদি.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “প্রত্যেক ভালো কাজই সাদকা।”

সূত্র: সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর ১০০৯।

শব্দার্থ :

  • المعروف: এমন সব বিষয়, যা অন্যদের জন্য উপকারী, এটি কথা বা কাজ উভয়ই হতে পারে।

হাদিসের ব্যাখ্যা

নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক সৎ কাজ ও উপকারী কথা বা কাজ সাদাকা হিসেবে গণ্য হবে এবং এতে সাওয়াব রয়েছে। এর মানে হলো, শুধু দান-খয়রাত নয়, বরং প্রতিটি ভালো কাজ যা অন্যের উপকারে আসে, তা সাদাকা হিসেবে গণ্য হবে।

হাদিস থেকে শিক্ষামূলক দিক

  • ১. এই হাদিস নির্দেশ করে যে সাদাকা কেবল অর্থ দানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং প্রত্যেক ভালো কাজ ও কথা, যা অন্যের উপকারে আসে, সাদাকা হিসেবে গণ্য হয়।
  • ২. অন্যের উপকারে আসা ও ভালো কাজ করার প্রতি উৎসাহ প্রদান।

হাদিস ৯ : কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং উপকারের প্রতিদান বিষয়ে উৎসাহ প্রদান

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، عن النبي ﷺ قَالَ: “مَنْ لاَ يَشْكُرُ النَّاسَ لاَ يَشْكُرُ اللهَ

আবু হুরাইরা (রাদি.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে লোক মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না, সে আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না।’

সূত্র: তিরমিজি, হাদিস নম্বর ১৯৫৪।

শব্দার্থ:

  • الشكر: যার মানে হল কারো অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, তা প্রশংসা, গ্রহণ, এবং স্বীকৃতির মাধ্যমে হতে পারে।

হাদিসের ব্যাখ্যা

এই ছোট হাদিস থেকে শিক্ষামূলক দিক হল আল্লাহর নেয়ামতগুলির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা তার স্থায়িত্ব ও স্থিতিশীলতার কারণ। অন্যদিকে, অকৃতজ্ঞতা প্রায়শই ব্যক্তিগত বা সাধারণ শাস্তির দিকে নিয়ে যায়। তাই আমাদের উচিত আল্লাহর নেয়ামতগুলির জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, তা ধর্মীয় বা দুনিয়াবি যে কোনো নেয়ামতই হোক না কেন।

হাদিস থেকে শিক্ষামূলক দিক

১. মানুষকে একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে অভ্যস্থ করা উচিত, যাতে তারা আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞ হতে পারে।

শিক্ষামূলক ছোট হাদিস ১০ : সমস্থ সৃষ্টির প্রদি দয়া কাম্য

عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الْبَجَلِي رضي الله عنه، عن النبي ﷺ قَالَ: “مَنْ لا يَرْحَمُ النّاسَ لا يَرْحَمُهُ اللهُ عَزّوَجَلَّ”

জরির ইবনে আবদুল্লাহ (রাদি) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “যে মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহ তার প্রতি দয়া করবেন না।”

সূত্র: সহিহ বুখারি, হাদিস নম্বর ৫৯৯৭ এবং সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর ২৩১৯।

শব্দার্থ:

  • الرحمة: এটি আল্লাহর একটি গুণ, যার অর্থ হলো করুণা ও দয়া, যা আল্লাহর মহিমার সাথে মানানসই।
  • من لا يرحم الناس: সৃষ্টির প্রতি দয়া অর্থাৎ কোমলতা ও সহানুভূতির সাথে আচরণ করা।
  • لا يرحمه الله: আল্লাহ তার প্রতি দয়া করবেন না।

হাদিসের ব্যাখ্যা

নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই হাদীসে বলেছেন, যে ব্যক্তি মানুষের প্রতিত দয়া করে না, মহান আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেন না। সৃষ্টির প্রতি দয়া করা আল্লাহর রহমত লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

হাদিসের শিক্ষা

১. সমস্ত সৃষ্টির প্রতি দয়া প্রদর্শন কাম্য; তবে এখানে মানুষের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তাদের গুরুত্ব বেশি বোঝানোর জন্যে।

কার্যক্রম ১: আপনি কীভাবে বাসায় আপনার পিতা-মাতার সাথে আচরণ করবেন?

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رضي الله عنه، عن النبي ﷺ قال: “لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ مَنْ كَانَ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ مِنْ كِبْرٍ”

বাংলা অনুবাদ: আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থকেে র্বণতি, নবী করীম (ﷺ) বলছেনে: “যার অন্তরে এক দানা পরমিাণ অহংকার থাকব, সে জান্নাতে প্রবশে করবে না।”

রফোরন্সে: সহীহ মুসলমি, হাদসি নম্বর: ৯১

عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ رضي الله عنه، قال: قال رسول الله ﷺ: “الْمُؤْمِنُ لِلْمُؤْمِنِ كَالْبُنْيَانِ، يَشُدُّ بَعْضُهُ بَعْضًا”

বাংলা অনুবাদ: আবু মূসা আশআরী (রাঃ) থকেে র্বণতি, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলছেনে: “এক মুমনি অপর মুমনিরে জন্য একটি দালানরে মত, যা একে অপরকে দৃঢ় রাখ।

রফোরন্সে: সহীহ বুখারী, হাদসি নম্বর: ২৪৪৬

আরো পড়ুন:


শেয়ার করুন

Leave a Comment