সহবাসের ইসলামিক নিয়ম নীতি । প্রশ্ন-উত্তর । ১০ টি কারণীয় ও বর্জনীয়

পোস্টটি শেয়ার করুন

স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক একটি প্রেমময় সম্পর্ক। বিহাহের মাধ্যমে একটি সুপ্রীত ও কাঙ্ক্ষিত বন্ধনের দ্বারা তৈরি হয় স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা ও এই সম্পর্ক। তাদের এই সম্পর্কের বিশেষ একটি দিক হল সহবাস। আর এ ক্ষেত্রে সহবাসের নিয়ম নীতি বা ইসলামিক দিন-নির্দেশনা জানা খুবই জরুরি।

একজন নারী ও পুরুষের জীবনের সুখ ও দুঃখ একই সূতোয় আবদ্ধ করে দেয় স্বামী স্ত্রীর বন্ধন। তাদের মধ্যে থাকে রাগ অভিমান। রোমেন্স উপভোগ। থাকে বিছানায় শারীরিক সম্পর্ক ও একজনের প্রতি অপর জনের অফুন্ত ভালোবাসা। বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে স্বামী ও স্ত্রী দুজনের যাত্রা শুরু হয় অনন্তের দিকে – জীবনের শ্যামল বসন্ত থেকে বার্ধক্যের অনুষ্ণ দিনকাল; কবর হাশর ও জান্নাতের পরম পথে।

এই পবিত্র সম্পর্ককে বিষাক্ত করতে শয়তান সব সময় উন্মুখ থাকে। সে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক নষ্ট করতে সর্ব প্রকার চেষ্টা করতে থাকে। এমনকি স্বামী ও স্ত্রী বিছানার সম্পর্ককে বিষাক্ত করে তুলে। তবে আশার কথা হলো ইসলামে স্বামী ও স্ত্রীর বিছানার সম্পর্ক পবিত্র ও মুখময় করতে এমন কিছু নির্দেশনা পরিবেশন রয়েছে – যা মুসলিম দম্পতিকে সমস্ত অনিষ্ঠ থেকে রক্ষা করতে  বদ্ধপরিকর।

আজকের ব্লগে সহবাসের নিয়ম নীতি ও সম্পর্ক নিয়ে আজকের ব্লগটি তৈরি করছি। আশা করি এটি আদর্শ ও মধুময় দাম্পত্য সম্পর্কের দ্বার খুলতে অদ্বিতীয়। 

সহবাসের নিয়ম নীতি । বিছানায় যাওয়ার আগে করণীয়

প্রত্যেক দম্পতিই তাদের বিছানার সম্পর্ককে উপভোগ্য করতে চায়। বিয়ের বহু পূর্ব থেকে মনের মধ্যে বিছানার পারফর্ম নিয়ে কিছু স্বপ্ন ও প্রত্যাশা লালন করে রাখে। বিবাহের প্রথম রাতে স্বামী স্ত্রী একাকি এক ঘরে মিলিত হওয়ার মধ্যদিয়ে সেই স্বপ্নগুলোর বাস্তবায়ন শুরু হতে লাগে। তাই বিছানায় উপভোগ্য পারফর্ম করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ জরুরী। তার প্রস্তুতি হিসাবে নিচের কাজগুলো করা যেতে পারে।

এক: পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা গ্রহণ করা

রাসুলুল্লাহ – সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – বলেন,

‘পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ।’ ( সহিহ মুসলিম – ২২৩)

দুই:  নাভির নিচের লোম, নখ ইত্যাদি কেটে নেওয়া

রাসুলুল্লাহ – সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – বলেন –

‘পাঁচটি বিষয় মনুষ্য স্বভাবের অন্তর্ভুক্ত। খতনা করা, নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করা, নখ ও মোচ কাটা।’ (সহিহ বুখারি – ৫৮৮৯)

তিন:  সুগন্ধময় পারফিউম ব্যবহার করা

সুগন্ধ এক বিশেষ ক্ষমতার অধীকারী। তা আপনার সংঙ্গীকে মানসিকভাবে প্রফুল্ল করবে।

আয়িশা – রাদিয়াল্লাহু আনহা – বলেন,

‘আমি রাসুলুল্লাহ -সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- কে সুগন্ধি লাগিয়ে দিতাম। অতপর তিনি তাঁর স্ত্রীদের কাছে গমন করতেন।’ (সহিহ বুখারি – ২৬৩ )

চার: নিজের সাধ্যমতো কিছু উপহার কিনে রাখা

স্বামী স্ত্রীকে বা স্ত্রী স্বামীকে বা উভয়ে উভয়কে এক বা একাধিক উপহার দিতে পারে। যেমন পারফিউম, হাত ঘড়ি মোবাইল ফোন বই ইত্যাদি। কেননা উপহার মানুষের মনে ভালোবাসা সৃষ্টি করে।

রাসুলুল্লাহ – সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – বলেন –

`তোমার একে অন্যকে উপহার দাও, এটা পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা বৃদ্ধি করবে।’

পাঁচ: মিষ্টি জাতীয় কিছু খাবার রাখা

যাতে উপস্থিত সময়ে স্বামী স্ত্রী একে অপরের মুখে তুলে দিয়ে পারে।

ছয়: স্বামী স্ত্রী একে অপরের সামনে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা

এই উপস্থাপনটা হতে পারে শারীরিক ও মানসিক উভয় দিকে থেকে। শারীরিক উপস্থাপন মানে – হলো সুন্দর ও আর্ষণীয় পরিধেয় পরে স্বামীর জন্য অপেক্ষা করবে।

আর মানসিক উপস্থাপন মানে হলো – মনের মধ্যে সুন্দর অর্থবহ কিছু কথা তৈরা করে রাখা। যে কথাগুলো ভালোবাসা বৃদ্ধি এবং নিজের সুন্দর মন ও অভিরুচি পরিবেশন করতে সাহায্যকারী হবে।

সহবাসের নিয়ম নীতি। অন্তরঙ্গতা হওয়ার আগে করণীয়

এক: রোমে প্রবেশ করে সালাম দেওয়া

কেননা সালাম অন্তরঙ্গতা ও ভালোবাসা সৃষ্টি মাধ্যম।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – বলেন –

অনুবাদ: ‘তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না যতক্ষণ না ইমান আনয়ন করবে। আর পরিপূর্ণ ইমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আমি কি তোমাদের এমন বিষয়ে অবগত করবো না – যা করলে তোমরা একে অপরকে ভালোবাসতে পারবে? (সেটা হলো) তোমরা নিজেদের মধ্যে সালামের প্রসার করো।’ ( সহিহ মুসলিম – ৫৪)

  • দুই: স্বামী স্ত্রী একে অপরের শারীরিক অবস্থা সম্বন্ধে খুঁজ খবর নেওয়া
  • তিন: স্ত্রীর রূপ সৌন্দর্য নিয়ে প্রশংসা করা। সকল মানুষই নিজের প্রশংসা শুনতে ভালোবাসে
  • চার: সহবার শুরুর আগে ফোর প্লে করা। স্ত্রীকে আলিঙ্গন করা। চুমু খাওয়া। শরীরের স্পর্শ কাতর অংশে হাত বুলানো ইত্যাদি।

রাসুলুল্লাহ – সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু – কে বলেন –

‘তুমি কেন কুমারী মেয়ে বিয়ে করলে না। এতে সে তোমার সাথে খেলতো আর তুমিও তার সাথে খেলতে।’

হাদিসে খেলা বলে ফোর প্লে উদ্দেশ্য নেওয়ার অবকাশ রয়েছে বলে অনেক মুহাদ্দিস অভিমত দিয়েছেন।

পাঁচ: সহবাসের নিয়ত বিশুদ্ধ রাখা।

বিশুদ্ধ নিয়ত মানে হলো – সহবাসের শুরুতে সওয়াবের নিয়ত করে নেওয়া। যেমন পাপ পঙ্কিলতা থেকে চরিত্র রক্ষা। নেক সন্তনলাভ ও পরকালীন মুক্তি ইত্যাদি।

একজন সাহাবি রাসুলুল্লাহ – সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – কে প্রশ্ন করলেন –

‘আমাদের কেউ তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করলেও কি সওয়াব পাবে? রাসুলুল্লাহ – সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – বললেন, ‘তোমরা কি মনে করো – সে যিনা করলে তার পাপ হতো না? তাহলে হালালভাবে সহবাস করার কারণে সওয়াব পাবে না কেন?’ (সহিহ মুসলিম – ৭২০)

ছয়: সহবাসের সময় নিম্নের দোয়াটি পাঠ করা।

اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ، وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি, আল্লা-হুম্মা জান্নিবনাশ্-শাইতানা ওয়া জান্নিবিশ্-শাইতানা মা রাযাকতানা।

অনুবাদ: আল্লাহ তায়ালার নামে শুরু। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের কাছ থেকে শয়তানকে দূরে রাখুন।  এবং আমাদেরকে যে সন্তান আপনি দান করবেন তার থেকেও শয়তানকে দূরে রাখুন। (সহিহ বুখারি – ১৪১)

সাত: সহবাসের নিষিদ্ধ পন্থা ও সময় মেনে চলা

এমন কোনো পন্থা বা অবস্থায় সহবাসে লিপ্ত না হওয়া যা ইসলামে নিষিদ্ধ। যেমন অ্যানাল সেক্স বা স্ত্রী মাসিক চলাকালীন সহবাস ইত্যাদি।

সহবাসের কিছু বিশেষ নিয়ম নীতি

সহবাসের আদব ও নিয়ম

  • পরস্পরের প্রতি সদয় ও কোমল হওয়া – ইসলামে রুক্ষতা বা নিষ্ঠুরতার অনুমতি নেই।
  • একান্তে গোপনীয়তা রক্ষা করা – কারও সামনে যেন এমন কিছু প্রকাশ না পায়।
  • পবিত্রতা বজায় রাখা – শারীরিক ও মানসিকভাবে পরিচ্ছন্ন থাকা।
  • কেবল হালাল পন্থায় মিলন করা – পেছন দিক থেকে সহবাস করা (অর্থাৎ মলদ্বারে) সম্পূর্ণ হারাম। (তিরমিজি ২৯৫)
  • আবৃত অবস্থায় থাকা – উভয়কে সম্পূর্ণ নগ্ন না হয়ে কমপক্ষে চাদর বা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা উত্তম।
  • শরীরের ডান পাশ ঘুরিয়ে শোয়া ও স্বাভাবিক পদ্ধতিতে মিলন করা

🔹 সহবাসের পর করণীয়

  • গোসল ফরজ হয় – সহবাসের পর উভয়ের উপর গোসল ফরজ হবে, যা পবিত্রতার জন্য জরুরি।
  • গোসলের নিয়ত করা – মনে মনে নিয়ত করে পুরো শরীরে পানি পৌঁছানো।
  • প্রথমে হাত ধোয়া, ওযু করা ও তারপর শরীরে পানি ঢালা (সহিহ হাদিস অনুযায়ী)।

🔹 কোনো বিশেষ সময় সহবাস নিষিদ্ধ?

নিষিদ্ধ নয়: মাহরাম (হালাল স্ত্রী) হলে সহবাস সর্বদা হালাল।
মাসিক চলাকালে নিষিদ্ধ – এই সময় সহবাস হারাম, তবে ভালোবাসা প্রকাশ করা ও ঘনিষ্ঠতা বৈধ।
রমজানে সিয়াম অবস্থায় দিনের বেলায় নিষিদ্ধ – তবে ইফতারের পর ও সেহরির আগে বৈধ।
ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ – হজ বা উমরার সময় ইহরাম অবস্থায় সহবাস করা হারাম।

🔹 সংক্ষেপে মূল বিষয়সমূহ:

✅ সহবাসের আগে দোয়া পড়া
✅ ভালো ব্যবহার ও কোমলতা বজায় রাখা
✅ গোপনীয়তা রক্ষা করা
✅ হারাম পন্থা পরিহার করা
✅ সহবাসের পর গোসল করা

সহবাসের নিয়ম নীতি সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

১. সহবাসের আগে কোনো বিশেষ দোয়া আছে কি?

হ্যাঁ, রাসূল ﷺ বলেছেন, সহবাসের আগে নিম্নোক্ত দোয়া পড়লে শয়তানের প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে:

اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ، وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا

উচ্চারণ: Allahumma jannibnash-shaytaan, wa jannibish-shaytaana maa razaqtanaa

অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখুন এবং আমাদের যে সন্তান দান করবেন, তাকে শয়তান থেকে রক্ষা করুন। (বুখারি, ১৪১)

২. এক রাতের মধ্যে একাধিকবার সহবাস করা যাবে কি?

হ্যাঁ, সহবাসের মাঝে বিরতি নিয়ে দ্বিতীয়বার সহবাস করা বৈধ। তবে পুনরায় সহবাসের আগে ওযু করা সুন্নত (মুসলিম, ৩৪৬)।

৩. সহবাসের সময় কি সম্পূর্ণ নগ্ন হওয়া যাবে?

ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর জন্য নগ্ন হওয়া নিষিদ্ধ নয়, তবে উলঙ্গ অবস্থায় সহবাসকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। হাদিসে এসেছে,
“যখন তোমাদের কেউ তার স্ত্রী সহবাস করে, তখন তারা যেন নিজেদের আবৃত রাখে।” (ইবনে মাজাহ, ১৯২১)

৪. সহবাসের সময় কিবলামুখী হওয়া যাবে কি?

না, সহবাসের সময় কিবলামুখী হওয়া আদববিরুদ্ধ। রাসূল ﷺ কিবলামুখী হয়ে শৌচকাজ করতেও নিষেধ করেছেন, তাই দাম্পত্য মিলনের সময়ও কিবলার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা উচিত।

৫. সহবাসের পর গোসল করা কি বাধ্যতামূলক?

হ্যাঁ, সহবাসের পর ফরজ গোসল করতে হবে, যদিও বীর্যপাত না হয়। রাসূল ﷺ বলেছেন, “যখন দু’জনের শরীর মিলিত হয়, তখন গোসল করা ফরজ হয়ে যায়, যদিও বীর্যপাত না হয়।” (মুসলিম, ৩৪৮)

৬. সহবাসের পর গোসলের সঠিক নিয়ম কী?

গোসলের সুন্নত পদ্ধতি:

  • নিয়ত করা
  • বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা
  • প্রথমে হাত ধোয়া
  • অযু করা (পা ধোয়া ছাড়া)
  • সারাংশে শরীর ভিজিয়ে নেওয়া
  • ডান দিক থেকে পানি ঢালা, তারপর বাম দিকে
  • শেষে পা ধোয়া

৭. সহবাসের সময় মুখে কথা বলা যাবে কি?

যদি তা ভালোবাসা প্রকাশের জন্য হয়, তাহলে অনুমোদিত। তবে অশ্লীল বা গালিগালাজ করা উচিত নয়।

৮. সহবাসের পর কি কাপড় পরিবর্তন করা লাগবে?

যদি কাপড়ে বীর্য লেগে যায়, তবে সে কাপড় পরিবর্তন করতে হবে বা ধুয়ে নিতে হবে (বুখারি, ২২৯)।

৯. মাসিক চলাকালে সহবাস করা যাবে কি?

না, এটি সম্পূর্ণ হারাম। আল্লাহ বলেন,

“তারা (স্ত্রীরা) মাসিক অবস্থায় থাকলে তাদের থেকে দূরে থাক এবং পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের সঙ্গে সহবাস করো না।” (সূরা বাকারা: ২২২)

তবে ঘনিষ্ঠতা, চুম্বন ইত্যাদি বৈধ।

১০. রমজানে দিনের বেলায় সহবাস করলে কি হবে?

এটি কবীরা গুনাহ এবং এর জন্য কাফফারা দিতে হবে:

  • একটানা ৬০ দিন রোযা রাখা
  • তা সম্ভব না হলে ৬০ জন দরিদ্রকে খাওয়ানো (বুখারি, ১৯৩৬)

তবে রাতের বেলায় সহবাস বৈধ।

১১. সহবাসের সর্বোত্তম সময় কখন?

সুনির্দিষ্ট কোনো সময় নেই, তবে ইসলামের দৃষ্টিতে উত্তম সময় হলো:
✅ রাতের বেলা (আরাম ও গোপনীয়তা বেশি থাকে)
✅ তাহাজ্জুদের আগে
✅ ফজরের পর (যদি সকাল পর্যন্ত জাগ্রত থাকা হয়)

১২. সহবাসের জন্য কোনো নির্দিষ্ট দিক (পজিশন) আছে কি?

✅ সামনের দিক থেকে যেকোনো পজিশন বৈধ
❌ পেছনের রাস্তা (মলদ্বার) দিয়ে সহবাস করা সম্পূর্ণ হারাম (তিরমিজি, ২৯৫)

১৩. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কিসের অনুমতি আছে?

✅ পরস্পরের দেহ উপভোগ করা বৈধ
✅ চুম্বন, আলিঙ্গন, কামুক কথাবার্তা বলা অনুমোদিত
❌ হারাম বস্তু বা ভিডিও দেখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
❌ অন্যের সাথে এসব বিষয় শেয়ার করা নিষিদ্ধ

১৪. স্ত্রীর সম্মতি ছাড়া সহবাস করা যাবে কি?

না, ইসলামে স্ত্রীর প্রতি সদয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জোরপূর্বক সহবাস করা ইসলামের মূলনীতি ও আদর্শের পরিপন্থী।

১৫. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খেলার ছলে সহবাসের প্রতি আগ্রহ বাড়ানো যাবে কি?

হ্যাঁ, রাসূল ﷺ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা ও রোমান্সকে উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেন,
“তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি, যে তার স্ত্রীর জন্য উত্তম।” (তিরমিজি, ৩৯০১)

উপসংহার

ইসলাম আমাদের জন্য সুন্দর ও শৃঙ্খলাপূর্ণ দাম্পত্য জীবন নিশ্চিত করেছে। সহবাস শুধু প্রবৃত্তি পূরণের জন্য নয়, বরং পারস্পরিক ভালোবাসা ও পরিবার গঠনের একটি মাধ্যম। সুতরাং, ইসলামের নিয়ম ও আদব মেনে চললে দাম্পত্য জীবন হবে বরকতময় ও পূণ্যলাভের মাধ্যম।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুস্থ ও হালাল দাম্পত্য জীবনযাপনের তাওফিক দান করুন! আমীন। 🤲


পোস্টটি শেয়ার করুন