ইস্তিঞ্জা শুধু শারীরিক পবিত্রতার একটি মাধ্যম নয়, বরং তা সালাত ও ইবাদতের পূর্বশর্ত—তাহারাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর হাদিসসমূহ থেকে আমরা বুঝি যে, ইস্তিঞ্জার মাধ্যমে মানুষ যেমন বাহ্যিক নাপাকতা দূর করে, তেমনি এর আদব ও সুন্নত মেনে চলার মাধ্যমে সে একজন পরিশীলিত মুমিন হিসেবে গড়ে ওঠে। এই আলোচনায় আমরা ইস্তিঞ্জা অর্থ কি? শরয়ী হুকুম, প্রযোজ্য উপকরণ, সুন্নত ও মাকরুহ বিষয়াবলি, এবং কায়দা-আদবসমূহ বিশ্লেষণ করবো বাস্তবমুখীভাবে এবং হাদিস ও ফিকহের আলোকে।
ইস্তিঞ্জা অর্থ কি?
ভাষাগত অর্থে:
مسح موضع النجاسة أو غسله
বাংলা অর্থ হলো: নাপাকির স্থান মুছে ফেলা বা ধুয়ে ফেলা।
এটি ইস্তিঞ্জার মূল কাজ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। “مسح” মানে মুছা, আর “غسل” মানে ধোয়া। আর “موضع النجاسة” অর্থাৎ যেখানে নাপাক লেগেছে — সে স্থান।
সাধারণভাবে, শরীরের বা কাপড়ের যেকোনো অপবিত্র অংশকে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে এই শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়, তবে ইস্তিঞ্জার প্রসঙ্গে এটি বিশেষভাবে যৌনাঙ্গ বা পায়ুপথের কথা বোঝায়।
ইস্তিঞ্জা এর পারিভাষিক অর্থ
هو قلع النجاسة بنحو الماء، أو تقليلها بنحو الحجر، فهو استعمال الأحجار أو الماء. أو هو إزالة للنجاسة من كل خارج ملوّث ولو نادراً كدم ومذي وودي، لا على الفور، بل عند الحاجة إليه بماء أو حجر
অর্থ: পানি দ্বারা নাপাকী দূর করা অথবা পাথরের মতো কিছু দিয়ে তা কমিয়ে দেওয়া। অর্থাৎ, পাথর বা পানি ব্যবহারের মাধ্যমে নাপাকী দূর করা। আরও বলা যায়, এটি এমন সব অপবিত্র বস্তুর অপসারণ, যা শরীর থেকে বের হয়ে স্থানকে অপবিত্র করে, যদিও তা খুব কমই ঘটে—যেমন রক্ত, মাযী, ওয়াদী। তবে তা সাথে সাথে না করলেও চলবে, যখন প্রয়োজন হবে তখন করা যাবে, পানি বা পাথর যেকোনো মাধ্যমে।
অথবা আরও সহজভাবে বলা যায়, ইস্তিঞ্জা হলো যৌনাঙ্গ (সামনের রাস্তা) অথবা পায়ুপথ (পেছনের রাস্তা) থেকে অপবিত্রতা দূর করা। তবে শুধুমাত্র বাতাস (গ্যাস), ছোট পাথর, ঘুম, অথবা শিরা কেটে রক্ত বের হওয়ার ক্ষেত্রে ইস্তিঞ্জা জরুরি নয়। “ইস্তিঞ্জা” বা “ইস্তিতাবা” শুধু পানি দিয়ে নয়, যেকোনো উপযুক্ত উপায়ে করা যায়।
ইস্তিজমার: এটি হলো শুধুমাত্র পাথর বা অনুরূপ বস্তুর মাধ্যমে অপবিত্রতা দূর করা। “জামরাহ” (অর্থাৎ পাথর) শব্দ থেকে এই নামটি এসেছে।
ইস্তিবরা: এটি হলো মল-মূত্রের রেশ বা প্রভাব দূর হওয়া নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা। অথবা পায়খানার রাস্তা থেকে প্রস্রাবের শেষাংশ সম্পূর্ণ বেরিয়ে গেছে—এই নিশ্চয়তা লাভ করাকে ইস্তিবরা বলে।
ইস্তিনযাহ: এটি হলো অপবিত্রতা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করা। অর্থে এটি ইস্তিবরার অনুরূপ।
ইস্তিনকা (الاستنقاء) : “ইস্তিনকা” অর্থ: পবিত্রতা অন্বেষণ বা সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার হওয়ার চেষ্টা।
এটি এমন এক প্রক্রিয়া— যেখানে কেউ পায়ুপথ ভালোভাবে ঘষে পরিষ্কার করে, তা পাথর ব্যবহার করেই হোক বা পানি দিয়ে ইস্তিঞ্জার সময় নিজের আঙুল দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করেই হোক।
গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
এই সকল পদ্ধতির উদ্দেশ্য হলো— নাপাকতা (নাজাসাত) থেকে সম্পূর্ণরূপে পরিশুদ্ধ হওয়া।
📌 তাই যতক্ষণ না কেউ নিশ্চিত হয় যে, প্রস্রাবের ফোঁটার কোনো প্রভাব বা চিহ্ন আর বাকি নেই, ততক্ষণ অজু শুরু করা জায়েজ নয়।
🔹 অন্যথায়, অজু সহীহ হবে না।
ইস্তিঞ্জার হুকুম
ইস্তিঞ্জা হল এমন একটি সুনান মুয়াক্কাদাহ (জোরালো সুন্নত), যা দুই রাস্তা (অর্থাৎ সামনের ও পেছনের পথ) দিয়ে কিছু বের হলে তা বের হওয়ার স্থান থেকে অপসারণের জন্য করা হয়।
🔸 তবে যদি নাপাকী নির্গমনস্থানের বাইরে ‘এক দিরহাম’ পরিমাণ ছড়িয়ে পড়ে, তখন তা ধৌত করা ওয়াজিব (আবশ্যক) হয়ে যায়, এবং নারীকে সবসময় প্রস্রাবের পর ইস্তিঞ্জা করা উচিত, কারণ নারীদের নির্গমনপথ (পেসি) কিছুটা প্রশস্ত, ফলে পবিত্রতা বজায় রাখার জন্য এই সতর্কতা প্রয়োজন।
🔸 যদি নাপাকী নির্গমনস্থানের বাইরে এক দিরহাম পরিমাণের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে তা পানি দিয়ে ধোয়া ফরজ (আবশ্যকীয়) হয়ে যায়। ঠিক তেমনি, জানাবত (গোসল ফরজ হওয়ার কারণ), হায়েয (ঋতু), নিফাস (প্রসব-পরবর্তী রক্ত) ইত্যাদি থেকে গোসল করার সময় নির্গমনস্থানের ভিতরের অংশও ধুয়ে ফেলা ফরজ।
✅ শুধু পানি দিয়েই ইস্তিঞ্জা করা সহিহ (সঠিক)।
তবে সবচেয়ে উত্তম হলো—পাথর বা টিস্যু দিয়ে মুছে নেওয়ার পর পানি দিয়ে ধোয়া, অর্থাৎ দুটি মাধ্যম একত্রে ব্যবহার করা, এবং তা নির্দিষ্ট কায়দায় (আগে মুছা, পরে ধোয়া) করা।
🔹 এর দলিল হলো, আল্লাহ তাআলা কুবাবাসীদের প্রশংসা করেছেন, যাঁরা ইস্তিঞ্জার সময় পাথরের পর পানি ব্যবহার করতেন।
হাদিস
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:
“হে আনসারগণ! আল্লাহ তাআলা পবিত্রতা সম্পর্কে তোমাদের প্রশংসা করেছেন। তোমাদের এই পবিত্রতার পদ্ধতি কী?” তারা বলল, “আমরা নামাজ ও গোসলের জন্য ওজু করি।” তিনি বললেন, “আর কিছু?” তারা বলল, “হ্যাঁ, আমরা যখন পায়খানা করি, তখন পানি দিয়েও ধুয়ে ফেলি।”
তিনি বললেন, “এইটিই তো সেই প্রশংসিত কাজ।” 📚 (সহিহ মুসলিম, অনুরূপ অর্থ)
🔸 ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, যখন এই আয়াত নাজিল হয়—
“তাতে এমন লোকেরা রয়েছে যারা পবিত্রতা ভালোবাসে, আর আল্লাহ পবিত্রদের ভালোবাসেন”
— তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁদের জিজ্ঞেস করেন, তারা বলেন, “আমরা পাথরের পরে পানি ব্যবহার করি।”
🔸 আয়েশা (রাঃ) বলেন:
“তোমরা তোমাদের স্বামীদের বলো যেন তারা পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করে, কারণ আমি তাদেরকে লজ্জা দিই; রাসূলুল্লাহ ﷺ-ও তা করতেন।”
✅ শুধু পাথর বা কাগজ দিয়েও ইস্তিঞ্জা করা বৈধ, যদি নাপাকী নির্গমনস্থানের বাইরে না ছড়ায়।
তবে পানি ব্যবহার করাই উত্তম, কারণ এতে পবিত্রতা পূর্ণরূপে অর্জিত হয় এবং সুন্নতের পরিপূর্ণ অনুসরণ হয়।
🟩 আর শুধু পাথর (বা টিস্যু/কাগজ) ব্যবহার করলে তিনবার মুছা উত্তম — কারণ, আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:
“যে ইস্তিজমার (পাথর দিয়ে মুছার) মাধ্যমে বিজোড় সংখ্যা পূর্ণ করলো (যেমন তিনবার), সে ভালো করলো; আর যে করলো না, তার জন্য কোনো গোনাহ নেই।” 📚 (আবু দাউদ, তিরমিযি)
ইস্তিবরা (الاستبراء) এর হুকুম
ইস্তিবরা হলো: মূত্রত্যাগের পর মূত্রনালী থেকে অবশিষ্ট মূত্রের ফোঁটা বের করে নেওয়ার চেষ্টাকে বোঝায়। এর উদ্দেশ্য হলো — যেন কোনো ভেজাভাব শরীরে রয়ে না যায় যা অজু বা নামাজের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
🧍♂️ ইস্তিবরার বিভিন্ন পদ্ধতি
ইস্তিবরা করা যেতে পারে—
- হেঁটে হাঁটতে,
- কিছুটা কাশি দিয়ে (تنحنح),
- বাম পাশে হেলে শুয়ে,
- পা নাড়িয়ে, বা
- হালকা দৌড়ে।
✋ ইস্তিবরার হাতে-কলমে করণীয়:
১. বাম হাত ব্যবহার করে নিজের পুরুষাঙ্গ পায়ুপথের গোড়া (যেখানে প্রস্রাব শুরু হয়) থেকে
অঙ্গের মাথা পর্যন্ত তিনবার মুছবে।
২. এ সময়—
- মধ্যমা আঙুল (মাঝের আঙুলটি) নিচে রাখবে,
- বুড়ো আঙুলটি ওপরে রাখবে,
- তারপর উভয় আঙুল দিয়ে চেপে/মুছে উপরের দিকে নিয়ে যাবে।
৩. এরপর সতর্কভাবে ও নরমভাবে তিনবার নাড়াবে (নাচড়াবে),
যাতে ভিতরে যদি কিছু রয়ে যায়, তবে বেরিয়ে আসে।
🔄 মানুষভেদে ইস্তিবরার ধরন ভিন্ন
- কেউ কেউ খুব অল্প চাপে ইস্তিবরা সম্পন্ন করতে পারেন,
- কেউ একটু বেশিবার করতে হয়,
- কেউ কাশির মাধ্যমে বা হাঁটাহাঁটি করলেই হয়ে যায়,
- আবার কারো কোনো কিছুই প্রয়োজন হয় না।
মূল লক্ষ্য হলো— নিজের অভ্যস্ততা অনুযায়ী নিশ্চিত হওয়া যে, আর কিছু বের হবে না।
⚠️ নিষেধাজ্ঞা:
- কাপড় বা তুলো দিয়ে মূত্রনালীতে কিছু ঢোকানো — এটা মাকরূহ (অপছন্দনীয়)।
- বাথরুমে দীর্ঘ সময় বসে থাকা — এটাও অপছন্দনীয়; কারণ এতে যকৃত (লিভার) আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
📚 ইস্তিবরার দলিলসমূহ
১. ইস্তিবরার প্রয়োজনীয়তার হাদীস
রাসুলুল্লাহ সা. দুটি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রমের সময় বলেন,
«إنهما ليعذبان، وما يعذبان في كبير: أماأحدهما فكان لا يستبرئ من بوله، وأما الآخر فكان يمشي بالنميمة»
🔸 অর্থ: নবী ﷺ দুই কবরের পাশ দিয়ে গমনকালে বলেন: “এরা উভয়েই আজাব পাচ্ছে, অথচ এমন কোনো বড় কারণে নয়। তাদের একজন প্রস্রাব থেকে সতর্ক হতো না, আর অপরজন চোগলখোরতা করত।” (বুখারী ও মুসলিম)
২. ইস্তিবরা সুন্নত হওয়ার দলিল
تنزهوا من البول، فإن عامة عذاب القبر منه
অর্থ: “প্রস্রাব থেকে বাঁচো, কারণ কবরের অধিকাংশ আজাব এর কারণেই হয়।”
📌 এই হাদীস বোঝায়, যদি কারো প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায় ও সাধারণভাবে আর কিছু বের হয় না —
তবে ইস্তিবরা করা ফরজ নয়, বরং সুন্নত বা মুস্তাহাব।
✅ সারাংশ
- ইস্তিবরা আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ,
- তবে সেটা শরিয়তের নির্দিষ্ট বিধি মোতাবেক হতে হবে, বাড়াবাড়ি যেন না হয়।
ইস্তিঞ্জার আদব ও নিয়ম
১. বাম হাতে পানি ঢালবে, এমনভাবে যেন হাতটি প্রথমে অপবিত্রতার সংস্পর্শে না আসে।
২. এরপর মূত্রের ক্ষেত্রে শুধু মূত্র নিঃসরণের স্থান ধুবে। আর মযি (যৌন উত্তেজনায় নিঃসৃত তরল) বের হলে সম্পূর্ণ পুরুষাঙ্গ ধুবে।
৩. তারপর পায়ুপথ (দ্বীবার) ধুবে।
৪. পানি ঢালতে থাকবে ধারাবাহিকভাবে এবং বাম হাতে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করবে, যতক্ষণ না সম্পূর্ণভাবে পবিত্র হয়।
৫. হালকা ঝুঁকে থাকবে এবং ভালোভাবে ঘষবে, যেন কোনো নাপাকির চিহ্ন না থাকে।
৬. ডান হাত দিয়ে ইস্তিঞ্জা করবে না, এবং ডান হাতে গোপন অঙ্গ স্পর্শও করবে না।
⚠️ সতর্কতা (সিয়াম পালনকারীর জন্য)
যে ব্যক্তি রোযা রাখছে, সে যেন ভেজা আঙুল পায়ুপথে প্রবেশ না করায়, কারণ এতে রোযা ভঙ্গ হয়ে যেতে পারে।
ইস্তিঞ্জার সুন্নতসমূহ
১. পায়ুপথ (দ্বীবার) ইস্তিঞ্জা শুরুতে মাঝের আঙুল (মধ্যমা) ব্যবহার করা, তারপর অন্যান্য আঙুল, যেমন অনামিকা ইত্যাদি ব্যবহার করে উপরের দিকে উঠানো।
২. ইস্তিঞ্জার পর পরিষ্কার করা অংশ শুকিয়ে ফেলা, যেন ব্যবহৃত পানি আবার কাপড়ে না লাগে — এটি সতর্কতা স্বরূপ।
৩. ইস্তিঞ্জার পর হাত ধোয়া সাবান দিয়ে।
এর প্রমাণ পাওয়া যায় মাইমূনা (রাঃ) এর বর্ণিত হাদীসে, তিনি বলেন:
“রাসূলুল্লাহ ﷺ জানাবতের গোসলের জন্য পানি প্রস্তুত করলেন, এরপর তিনি বাম হাতে দুই বা তিনবার পানি ঢাললেন, তারপর তাঁর গোপন অঙ্গ ধুয়ে ফেললেন, তারপর মাটি বা দেয়ালে দুই বা তিনবার হাত ঘষলেন।” 📚 (সহিহ বুখারী ও মুসলিম)
ইস্তিঞ্জার মাকরুহ বিষয়সমূহ
১. ডান হাত দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা — এটি مكروه (অপসন্দনীয়), কারণ আবু কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:
“তোমাদের কেউ যখন পেশাব করে, তখন সে যেন নিজের গোপনাঙ্গ ডান হাতে না ধরে, ডান হাতে ইস্তিঞ্জাও না করে, এবং পাত্রে ফুঁ না দেয়।” 📚 (সহিহ বুখারী ও মুসলিম)
২. হাড় বা গোবর দিয়ে ইস্তিঞ্জা করা — এগুলো ব্যবহার করা মাকরুহ তাহরিমী (হারামের কাছাকাছি নিষিদ্ধ), কারণ:
🔹 আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:
“তোমরা গোবর ও হাড় দিয়ে ইস্তিঞ্জা করো না, কারণ এগুলো তোমাদের জিন ভাইদের খাদ্য।” 📚 (সহিহ মুসলিম)
🔹 অপর এক হাদিসে তিনি বলেন:
“আমার কাছে জিনদের একজন আগমন করেছিল… (দীর্ঘ হাদিসে আছে): ‘তোমাদের হাতে যদি এমন কোনো হাড় আসে, যার উপর আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছিল, তাহলে তা জিনদের জন্য অধিক মাংসবহুল হয়ে যায়। আর প্রতিটি গোবর তাদের পশুদের খাদ্য।’ 📚 (তিরমিযি, ইবনে মাজাহ)
৩. নিম্নোক্ত জিনিসগুলো দিয়েও ইস্তিঞ্জা করা নিষেধ:
- কাচ (গ্লাস)
- পাথরের চূর্ণ (প্লাস্টার বা চুন জাতীয় বস্তু)
- কয়লা
- মাটির পাত্র বা টুকরা (খার)
- অত্যন্ত মূল্যবান বা সম্মানিত কোনো বস্তু
🔹 এ নিষেধাজ্ঞা তাহরীমীর পর্যায়ে মাকরুহ, অর্থাৎ হারামের খুব কাছাকাছি।
📌 কারণ, এসব জিনিস হয়তো শরীরের ক্ষতি করতে পারে, কিংবা তা অপচয়/অবমাননা হবে।