দারিদ্র্য — শুধু একটি আর্থিক অবস্থা নয়, বরং এটি এক কঠিন পরীক্ষা, যা একজন মানুষের আত্মমর্যাদা, জীবনদর্শন ও ইমানের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। ইসলাম দারিদ্র্যকে নিছক অর্থনৈতিক সংকট হিসেবে দেখেনি; বরং একে শয়তানের প্রবেশদ্বার ও নৈতিক দুর্বলতার সম্ভাব্য উৎস হিসেবেও বিবেচনা করেছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ দারিদ্র্য থেকে আশ্রয় চেয়েছেন, যেমনটি তিনি চেয়েছেন কুফর, পাপ ও জাহান্নাম থেকে। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফাকরি :
এই দোয়া — “اللهم إني أعوذ بك من الفقر” (হে আল্লাহ, আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই দারিদ্র্য থেকে) — একটি ছোট বাক্য হলেও এর মধ্যে লুকিয়ে আছে গভীর অন্তর্দৃষ্টি, আত্মিক উপলব্ধি এবং দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের প্রতি মহানবীর ﷺ দৃষ্টিভঙ্গি।
এই লেখায় আমরা আলোচনা করবো এই দোয়ার অর্থ, এর গুরুত্ব, কুরআন-সুন্নাহর আলোকে দারিদ্র্য বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি, এবং কীভাবে একজন মুমিন দারিদ্র্য থেকে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে পারে।
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফাকরি — দারিদ্র্য থেকে আশ্রয় চাওয়া
🌿 দোয়ার আরবি, উচ্চারণ ও বাংলা অনুবাদ
আরবি:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْفَقْرِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফাকরি।
বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দারিদ্র্য থেকে।
📖 শব্দ বিশ্লেষণ
- اللَّهُمَّ – হে আল্লাহ! (আবেগ ও আহ্বানের ভাষা)
- إِنِّي – নিশ্চয়ই আমি
- أَعُوذُ بِكَ – আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি
- مِنَ الْفَقْرِ – দারিদ্র্য থেকে
এই দোয়াটি সংক্ষিপ্ত হলেও গভীর অর্থবোধক। এতে আমরা দারিদ্র্যকে শুধু আর্থিক দুর্দশা নয়, বরং এমন একটি অবস্থা হিসেবে চিহ্নিত করছি, যা আমাদের আত্মমর্যাদা, চিন্তাশক্তি ও দ্বীনদারিতাকে দুর্বল করে দিতে পারে।
📚 হাদিস দ্বারা প্রমাণ
হাদিস
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ كَانَ يَقُولُ : اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْفَقْرِ، وَالْقِلَّةِ، وَالذِّلَّةِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ أَظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ
বাংলা অনুবাদ: আবু হুরায়রা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলতেন: “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দারিদ্র্য থেকে, অল্প থেকে, অপমান থেকে। আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই যেন আমি কারো ওপর জুলুম না করি অথবা আমার ওপর জুলুম না হয়।” 📘 (সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ১৫৪৪)
🌟 দোয়ার ফজিলত ও গুরুত্ব
- এই দোয়াটি নবিজী ﷺ নিয়মিত করতেন, যা এর গুরুত্ব বোঝায়।
- দারিদ্র্য কখনো কখনো মানুষকে হালাল-হারামের সীমা ভুলিয়ে দিতে পারে। তাই আগেভাগেই আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া একটি বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।
- দারিদ্র্য অনেক সময় মানসিক দুর্বলতা ও সামাজিক অপমান ডেকে আনে। রাসূল ﷺ এর থেকে আশ্রয় চেয়ে আমাদের শিখিয়েছেন আত্মমর্যাদার গুরুত্ব।
🧠 ইসলাম দারিদ্র্যকে কীভাবে দেখে?
ইসলামে দারিদ্র্যকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়নি, বরং এটি একটি পরীক্ষা। তবে রাসূল ﷺ দারিদ্র্য থেকে আশ্রয় চেয়েছেন এই কারণে যে, দারিদ্র্য অনেক সময় মানুষকে শিরক, কুফর বা হারাম পথে নিয়ে যেতে পারে।
কুরআনে বলা হয়েছে:
“الشيطان يعدكم الفقر ويأمركم بالفحشاء”
“শয়তান তোমাদেরকে দারিদ্র্যের ভয় দেখায় এবং অশ্লীলতা করতে বলে।” 📘 (সূরা আল-বাকারা: ২৬৮)
💡 বাস্তব জীবনে এই দোয়া ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োগ
- নিয়মিত এই দোয়া করা – সকালে ও সন্ধ্যায় এই দোয়াটি পাঠ করা।
- হালাল রিজিকের জন্য দোয়া ও চেষ্টা করা – ইসলাম শুধু দোয়া নয়, কাজকেও ইবাদতের অংশ বলে বিবেচনা করে।
- সামাজিকভাবে সহযোগিতা করা – দারিদ্র্য দূর করার জন্য উম্মাহর দায়িত্ব পালন করা, যেমন যাকাত, সদকা, ওয়াকফ ইত্যাদি।
- আত্মমর্যাদা বজায় রাখা – অর্থনৈতিক দুর্বলতা এলেও দ্বীন ও ইমানের ওপর অটল থাকা।
🌿 রাসূল ﷺ-এর আরও কিছু দোয়া যেখানে দারিদ্র্য থেকে আশ্রয় চাওয়া হয়েছে
১. কুফর ও দারিদ্র্য থেকে আশ্রয় চাওয়া
দোয়া:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ وَالْفَقْرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিনাল কুফরি ওয়াল ফাকরি, ওয়া আউজু বিকা মিন ‘আযাবিল কবর
অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে কুফর এবং দারিদ্র্য থেকে আশ্রয় চাই, এবং কবরের আজাব থেকেও আশ্রয় চাই। 📘 মুসনাদ আহমাদ (হাদিস: ৭০৫৩), আবু দাউদ (১৩৪৭)
🟢 বিশেষ মন্তব্য: রাসূল ﷺ এখানে কুফর ও দারিদ্র্যকে একত্রে উল্লেখ করেছেন, যা এর ভয়াবহতা ও ফিতনা বোঝায়। দারিদ্র্য কখনো কুফরের দিকে ধাবিত করতে পারে।
২. অভাব, অপমান ও জুলুম থেকে আশ্রয় চাওয়া
দোয়া
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْفَقْرِ، وَالْقِلَّةِ، وَالذِّلَّةِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ أَنْ أَظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিনাল ফাকরি ওয়াল কিল্লাতি ওয়াজ-যিল্লাতি, ওয়া আউজু বিকা মিন আন আজলিমা আও উজলাম
অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে দারিদ্র্য, অল্পতা ও অপমান থেকে আশ্রয় চাই। আমি আশ্রয় চাই যেন আমি কারো উপর জুলুম না করি বা কেউ আমার ওপর জুলুম না করে। 📘 সুনান আবু দাউদ (হাদিস: ১৫৪৪)
৩. পাপ, ঋণ ও দরিদ্রতা থেকে আশ্রয় চাওয়া
দোয়া
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ
অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে পাপ এবং ঋণ থেকে আশ্রয় চাই।
📘 সহিহ বুখারি (হাদিস: ৮৩২), সহিহ মুসলিম (৩৮৯৪)
🟡 যদিও এখানে “দারিদ্র্য” শব্দটি সরাসরি নেই, তবে “المغرم” অর্থাৎ ঋণগ্রস্ততা এমন একটি অবস্থা যা দারিদ্র্যের সাথেই ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
৪. মুসলিমদের জন্য রাসূল ﷺ-এর একটি সাধারণ দোয়া
দোয়া
اللَّهُمَّ أَغْنِنِي بِالْعِلْمِ، وَزَيِّنِّي بِالْحِلْمِ، وَأَكْرِمْنِي بِالتَّقْوَى، وَجَمِّلْنِي بِالْعَافِيَةِ
অর্থ: হে আল্লাহ, আমাকে জ্ঞানে পরিপূর্ণ করুন, সহনশীলতায় শোভিত করুন, তাকওয়ায় সম্মানিত করুন, আর সুস্থতায় সুন্দর করুন। 📘 মিশকাতুল মাসাবীহ
🟢 নোট: এই দোয়াতে সরাসরি দারিদ্র্যের কথা নেই, কিন্তু এর বিপরীত অবস্থা—“পরিপূর্ণতা, সম্মান, তাকওয়া ও সুস্থতা”—দারিদ্র্য থেকে মুক্তির প্রতীক।
আরো পড়ুন:

💥 আধুনিক দৃষ্টিকোণে দারিদ্র্য ও তার ফিতনা
❖ দারিদ্র্য: শুধু অভাব নয়, এক গভীর ফিতনা
ইসলামে দারিদ্র্য কোনো অপরাধ নয়, বরং অনেক নবী-রাসূল ও সাহাবী দরিদ্র ছিলেন। তবে বর্তমান সমাজব্যবস্থায় দারিদ্র্য শুধু অর্থের ঘাটতির নাম নয়, বরং একটি মানসিক চাপ, সামাজিক অপমান, এমনকি ইমান ও চরিত্র হারানোর ঝুঁকি। এটিই একে ফিতনায় পরিণত করেছে।
🧨 ১. হারাম রোজগারের দিকে ধাবিত হওয়া
অনেক মানুষ দারিদ্র্যের চাপ থেকে মুক্তি পেতে গিয়ে নিচের পথগুলোতে জড়িয়ে পড়ে:
- সুদভিত্তিক ঋণ (ক্রেডিট কার্ড, কিস্তিতে জিনিস কেনা)
- হারাম ইনকাম (ঘুষ, জুয়া, পর্ন/অশ্লীল কন্টেন্ট তৈরি বা শেয়ার)
- অবৈধ ব্যবসা বা MLM/স্ক্যাম/ড্রাগ ডিলিং
📖 “শয়তান তোমাদের দারিদ্র্যের ভয় দেখায় এবং অশ্লীল কাজের আদেশ দেয়…” — [সূরা আল-বাকারা, ২:২৬৮]
💔 ২. মানসিক ও পারিবারিক দুর্যোগ
- দারিদ্র্য মানসিক স্বাস্থ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলে—হতাশা, অবসাদ ও আত্মহত্যার ঝুঁকি বাড়ায়
- অনেক স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার মূল কারণ হয় আর্থিক সমস্যা
- সন্তানদের সঠিক শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া, অপরাধজগতে ঢুকে পড়া
📱 ৩. সামাজিক চাপে হারিয়ে যাওয়া ‘আত্মসম্মান
আজকের ভোগবাদী (consumerist) দুনিয়ায় মানুষকে তাদের ‘মূল্য’ নির্ধারণ করা হয়—
- পোশাকের ব্র্যান্ডে
- গ্যাজেট বা গাড়ির মডেলে
- ইনকাম ও লাইফস্টাইল দিয়ে
ফলে দরিদ্র মানুষ অপমানিত বোধ করে, আত্মবিশ্বাস হারায়, এবং সমাজচ্যুত হয়।
🧠 ৪. আখিরাতের চেয়ে দুনিয়ার ভয় বেশি হয়ে যাওয়া
দারিদ্র্য মানুষকে যখন এমন পর্যায়ে পৌঁছে দেয় যে,
“আমাকে আগে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, নামাজ-রোজা পরে হবে!”
— তখন সে দুনিয়ার চিন্তাকে আখিরাতের ওপর অগ্রাধিকার দেয়। এটি এক ধরণের আকীদাগত বিপদ।
🧭 ৫. ইমানের ওপর পরীক্ষার সময়
রাসূল ﷺ বলেছেন:
“দারিদ্র্য প্রায়ই মানুষকে কুফরের নিকটবর্তী করে তোলে।” 📘 সহিহুল জামে (৩৯৩৭)
এটি বোঝায়, দরিদ্রতা এক ধরণের ইমানী ফিতনা—যা ধৈর্যহীন মানুষকে বিপথে নিয়ে যেতে পারে।
✅ সমাধান ও করণীয় (সংক্ষেপে)
সমস্যা | করণীয় |
---|---|
দারিদ্র্য | আল্লাহর কাছে দোয়া ও ইস্তেগফার বৃদ্ধি |
ইনকামের কষ্ট | হালাল পন্থায় উপার্জনের চেষ্টা, সময়ের মূল্যায়ন |
ফিতনার আশঙ্কা | তাকওয়া বৃদ্ধি, হারাম কাজ থেকে দূরে থাকা |
মানসিক চাপ | কৃতজ্ঞতা, সাদাসিধে জীবনযাপন ও পরকালমুখিতা |
✅ বাস্তবিক দিকনির্দেশনা: দারিদ্র্য থেকে মুক্তির পথ
১. 🕋 আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল ও দোয়ার ধারাবাহিকতা
- প্রতিদিন “আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল ফাকরি” সহ বিভিন্ন দোয়া নিয়মিত পড়ুন।
- ৫ ওয়াক্ত সালাতের পর অন্তর থেকে রিজিকের জন্য দোয়া করুন।
- রাতে তাহাজ্জুদে উঠে দু’হাত তুলে চেয়ে নিন, কারণ দাতা তো আল্লাহ।
২. 📚 ইলম অর্জন ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট
- যেকোনো একটি দক্ষতা (skill) আয়ত্ব করুন যা দিয়ে ঘরে বসেই ইনকাম করা যায় (যেমন: ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, অনলাইন টিচিং)।
- ইসলামিক জ্ঞান ও দুনিয়াবী স্কিল—দুটোকেই সময় দিন।
📌 নিয়ত ঠিক থাকলে দুনিয়াবি কাজও ইবাদত হতে পারে।
৩. 🛑 হারাম ইনকামের দরজা বন্ধ করুন
- কেউ চাকরি বা ব্যবসার নামে সুদ, ঘুষ বা স্ক্যামের পথে হাঁটতে বললে, স্পষ্ট না বলুন।
- “সাময়িক অভাব হারামের চেয়ে উত্তম”—এই মনোভাব তৈরি করুন।
৪. 🛒 ব্যয় কমান, জীবন সরল করুন
- ব্র্যান্ড ও বিলাসিতার পেছনে না ছুটে নিয়মিত সাদাকাহ করুন, যত অল্পই হোক।
- অপ্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিন, পরিবারে বাজেট তৈরি করুন।
৫. 🫂 পরিবারের সবাইকে সম্পৃক্ত করুন
- সন্তানদেরও ইনকামের গুরুত্ব ও হালাল-হারামের শিক্ষা দিন।
- স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আর্থিক পরিস্থিতি শেয়ার করুন এবং সবাই মিলে পরিকল্পনা করুন।
৬. 📦 যা আছে, তা থেকেই কিছু ইনকাম শুরু করুন
- বাসায় হাতে তৈরি পণ্য বিক্রি করুন (হ্যান্ডিক্র্যাফট, খাবার, জামা, ইসলামিক গিফট ইত্যাদি)।
- সামাজিক মিডিয়ায় নিজের পণ্যের পেজ খুলুন।
৭. 💎 তাকওয়া ও কৃতজ্ঞতা: অভাবেও শান্তির চাবিকাঠি
“যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জন্য উত্তরণের পথ করে দেবেন, এবং অচিন্তনীয় পথে তাকে রিজিক দেবেন।” 📖 সূরা তালাক, আয়াত ২-৩
🎯 একটি ছোট চেকলিস্ট (নিজের জন্য)
কাজ | ✅ / ❌ |
---|---|
প্রতিদিন আল্লাহর কাছে রিজিকের জন্য দোয়া করছি? | |
হালাল ইনকামের চেষ্টা করছি, স্কিল শিখছি? | |
অপ্রয়োজনীয় খরচ কমাচ্ছি? | |
হারাম ইনকাম এড়িয়ে চলছি? | |
পরিবারে সবাইকে সম্পৃক্ত করছি? |
📝 উপসংহার
“اللهم إني أعوذ بك من الفقر” আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ফাকরি — এই দোয়া আমাদের শেখায়, দারিদ্র্য শুধু দেহের নয়, বরং আত্মারও ক্ষয় ঘটাতে পারে। তাই একজন মুমিনের উচিত হলো আল্লাহর কাছে সব সময় আশ্রয় চাওয়া যেন কোনো দারিদ্র্য আমাদের চরিত্র, নৈতিকতা ও ইমানকে ধ্বংস না করে দেয়।