আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিয়ান । আরবি । অর্থ ও ব্যাখ্যা

পোস্টটি শেয়ার করুন

জীবনের প্রকৃত সফলতা কেবল পার্থিব অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়—বরং এমন জ্ঞানের মাঝে নিহিত যা মানুষকে তার প্রভুর পরিচয় করিয়ে দেয়, হৃদয়কে আলোকিত করে এবং আমলকে শুদ্ধ করে তোলে। ইসলাম আমাদেরকে শুধু তথ্যভিত্তিক শিক্ষা অর্জনের দিকেই আহ্বান জানায় না; বরং এমন জ্ঞান চায়, যা আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটায়, ঈমান বৃদ্ধি করে এবং জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপকে সঠিক পথে পরিচালিত করে। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ ﷺ এমন এক দোয়া আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, যা আমাদের চাহিদা ও লক্ষ্যকে সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করে— আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিয়ান

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ‘ইলমান নাফি‘আন

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কল্যাণকর জ্ঞান প্রার্থনা করছি।

এই ছোট্ট কিন্তু গভীর অর্থবোধক দোয়ার মধ্যে এমন এক আকাঙ্ক্ষা রয়েছে, যা আমাদের শিক্ষা, চিন্তা ও কর্মজীবনকে আখিরাতমুখী করে তোলে। আজকের এই লেখায় আমরা আলোচনা করবো—‘ইলমুন নাফি’ বা কল্যাণকর জ্ঞান কী, কেন এটি এত গুরুত্বপূর্ণ, কীভাবে রাসূলুল্লাহ ﷺ এই দোয়ার মাধ্যমে আমাদের একটি দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এবং আমাদের জীবনে এই দোয়ার বাস্তব প্রতিফলন কেমন হওয়া উচিত।

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিয়ান – এক মহামূল্যবান দোয়ার ব্যাখ্যা

📖 দোয়া

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا

🔊 উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ‘ইলমান নাফি‘আন

🌾 অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট কল্যাণকর জ্ঞান প্রার্থনা করছি।

📌 এই দোয়ার প্রমাণসূত্র

রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন:

كَانَ إِذَا رَجَعَ مِنْ صَلَاةِ الْفَجْرِ، قَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا، وَرِزْقًا طَيِّبًا، وَعَمَلًا مُتَقَبَّلًا

“তিনি (নবী ﷺ) যখন ফজরের নামাজ শেষ করতেন, তখন বলতেন: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট কল্যাণকর জ্ঞান, পবিত্র রিজিক ও কবুলযোগ্য আমল প্রার্থনা করছি।”

📚 [সহিহ ইবনু মাজাহ, হাদিস: 925]

🌟 ‘ইলমুন নাফি’ বা কল্যাণকর জ্ঞান বলতে কী বোঝায়?

ইলমুন নাফি বা উপকারী জ্ঞান হল সেই জ্ঞান—

  • যা ঈমানকে শক্ত করে,
  • আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গভীর করে,
  • পাপ থেকে বিরত রাখে,
  • আমলকে সঠিক পথে পরিচালিত করে,
  • আখিরাতের কল্যাণ বয়ে আনে।

উদাহরণ:

📌 কুরআন ও হাদীসের জ্ঞান,
📌 হালাল-হারামের জ্ঞান,
📌 ইখলাস ও তাকওয়ার জ্ঞান,
📌 সালাত, রোযা, যাকাত ইত্যাদির সঠিক জ্ঞান,
📌 জীবনের প্রয়োজনীয় দুনিয়াবী জ্ঞানও, যদি তা দ্বীনের জন্য সহায়ক হয়।

⚠️ অনুপকারী জ্ঞান থেকে বাঁচার দোয়া

রাসূলুল্লাহ ﷺ এমন দোয়া থেকেও আমাদের শিখিয়েছেন, যাতে আমরা অনর্থক বা ক্ষতিকর জ্ঞান থেকে আশ্রয় চাই:

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لَا يَنْفَعُ

“হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই সেই জ্ঞান থেকে যা উপকার করে না।” 📚 [সহিহ মুসলিম, হাদিস: 2722]

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিয়ান
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিয়ান

🌱 এই দোয়ার উপকারিতা ও ফজিলত:

  • ✅ প্রতিদিনের জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্য ঠিক করে দেয়।
  • ✅ আমাদের আমলকে শুদ্ধ করে ও হেদায়াতের পথে রাখে।
  • ✅ দুনিয়াবি লাভের চেয়ে আখিরাতমুখী চিন্তাভাবনায় সহায়তা করে।
  • ✅ নির্ভরযোগ্য, বিশুদ্ধ ও ফলপ্রসূ শিক্ষার দিকে মনোনিবেশে সাহায্য করে।
  • ✅ পাপমুক্ত, পরিশুদ্ধ জীবন গঠনে সহায়ক হয়।
  • ✅ দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে শিক্ষা ও দীনী জ্ঞান লাভের পথ খুলে যায়।

আরো পড়ুন:

💡 আমাদের কী করা উচিত?

  • প্রতিদিন সকালে, বিশেষ করে ফজরের পর এই দোয়া পাঠ করা।
  • জ্ঞান অর্জনের সময় – কিতাব খুলার আগে বা ক্লাস শুরুতে – এই দোয়া পাঠ করা।
  • সন্তানদের জ্ঞানার্জনে উদ্বুদ্ধ করতে এই দোয়ার শিক্ষা দেওয়া।
  • কেবল সার্টিফিকেট নয়, বরং জীবন গঠনের জন্য দরকার “ইলমুন নাফি”—এই শিক্ষা নিজে গ্রহণ করা ও অন্যকে দেওয়া।

দোয়ার শব্দভিত্তিক বিশ্লেষণ আরবি শব্দগুলোর অর্থ

নিচে “اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا” দোয়ার শব্দভিত্তিক বিশ্লেষণ দেওয়া হলো — যাতে পাঠক প্রত্যেকটি শব্দের গভীরতা ও দোয়ার সৌন্দর্য হৃদয়ে অনুভব করতে পারেন:

🧠 শব্দভিত্তিক বিশ্লেষণ

আরবি শব্দআরবি ব্যাকরণঅর্থব্যাখ্যা
اللَّهُمَّআল্লাহ + মিম তাশদীদ (دعاء-র শব্দরূপ)হে আল্লাহ!এটি দোয়ার এক বিশেষ রূপ। এখানে “اللَّه” (আল্লাহ) শব্দের শেষে “مَّ” যোগ করে আহ্বানসূচক (vocative) বানানো হয়েছে। মানে: “হে আল্লাহ!” – একটি অতিশয় বিনীত ডাকোরূপ।
إِنِّيإنّ (নিশ্চয়ই) + ي (আমি)নিশ্চয়ই আমিবক্তার আত্মনিবেদন প্রকাশ করে। দোয়ার ভাষায় এটি নিজের দীনতা ও প্রয়োজনের স্বীকারোক্তি।
أَسْأَلُكَأَسْأَلُ (আমি প্রার্থনা করি) + كَ (আপনার কাছে)আমি আপনার কাছে চাই“سأل” মূল ধাতু, যার অর্থ প্রশ্ন করা বা চাওয়া। এখানে সেটা দোয়ার রূপে ব্যবহার হয়েছে—আল্লাহর কাছে চাওয়া।
عِلْمًاعلم (জ্ঞান) + تنوين (নাকিরা)একটি জ্ঞানএটি সাধারণভাবে জ্ঞান বোঝায়, তবে নাকিরা অবস্থায় থাকায় এটি “বিশেষ ধরণের জ্ঞান” বোঝাতে ব্যবহৃত—যা উপকারে আসে।
نَافِعًانَافِع (উপকারী)কল্যাণকর / উপকারী“نفع” মূল ধাতু থেকে এসেছে, যার অর্থ উপকার বা লাভ করা। অর্থাৎ এমন জ্ঞান যা অন্তরকে জাগ্রত করে, আমলকে সঠিক পথে চালায়, আখিরাতকে সফল করে।

🔍 সম্পূর্ণ বাক্যের অর্থ পুনরায়

اللَّهُمَّ – হে আল্লাহ!
إِنِّي – নিশ্চয়ই আমি
أَسْأَلُكَ – আপনার নিকট প্রার্থনা করছি
عِلْمًا نَافِعًا – এমন এক জ্ঞান, যা উপকারী/কল্যাণকর

📌 সম্পূর্ণ অনুবাদ: হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে কল্যাণকর জ্ঞান প্রার্থনা করছি।

🕌 উলামায়ে কেরামের বক্তব্য ও ব্যাখ্যা

১️⃣ ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) বলেন:

“উপকারী জ্ঞান হল সেই জ্ঞান, যা অন্তরকে আলোকিত করে, আমলকে শুদ্ধ করে এবং মানুষের জীবন ও আখিরাত উভয়ের কল্যাণে আসে।” 📚 [Miftah Dar as-Sa’adah, 1/45]

🔍 তিনি আরও বলেন, উপকারী জ্ঞান তিনটি বৈশিষ্ট্যে চিনে রাখা যায়:

  • অন্তর বিনয়ী করে
  • আমলে প্রভাব ফেলে
  • দুনিয়ার মোহ কমিয়ে আখিরাতের ভাবনা জাগায়

২️⃣ ইমাম নববী (রহ.) বলেন

“উপকারী জ্ঞান হল, যার সঙ্গে আল্লাহর ভয় জড়িত। শুধুমাত্র মুখস্থ বা আলোচনার জন্য অর্জিত জ্ঞান নয়।” 📚 [Sharh Sahih Muslim]

🔎 এখানে বোঝানো হয়েছে—শুধু তথ্য বা হাদীস জানা যথেষ্ট নয়, বরং সে জ্ঞান যদি আমলে রূপ না নেয়, তাহলে তা উপকারী নয়।

৩️⃣ শায়খ ইবনে উসাইমিন (রহ.) বলেন:

“উপকারী জ্ঞান বললে বুঝায়—কুরআন, হাদীস, ফিকহ ও ঈমান-আখলাক সংক্রান্ত জ্ঞান, যা মানুষের ঈমান দৃঢ় করে এবং ভুল থেকে বাঁচায়।” 📚 [Majmu’ Fatawa wa Rasail (26/166)]

💡 তিনি আরও বলেন, এই দোয়া নিয়মিত পড়া উচিত, বিশেষ করে যারা জ্ঞান অর্জনের পথে রয়েছে (ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, আলেম, সাধারণ মুসল্লি সবাই)।

৪️⃣ শায়খ সালিহ আল ফাওজান (হাফি.।) বলেন:

“এই দোয়ার মাধ্যমে নবী ﷺ আমাদের শিখিয়েছেন যে, আমরা সব সময় জ্ঞানের পিছনে ছুটব না—বরং এমন জ্ঞান চাইব, যা আমাদেরকে আল্লাহর দিকে নিয়ে যায়।” 📚 [Sharh al-Aqeedah al-Wasitiyyah]

🧭 এটি আমাদের শেখায়—কোনো জ্ঞান নিজে নিজে উপকারী নয়, বরং তার ফলাফলের উপর নির্ভর করে উপকারীতা।

ইমাম গাযযালী (রহ.) বলেন

“আল্লাহর প্রতি প্রেম ও ভয় জাগায়—এমন জ্ঞানই আসল জ্ঞান। বাকি সব তথ্য মাত্র।” 📚 [Ihya Ulum ad-Din, 1/23]

📝 তিনি ‘উপকারী’ ও ‘অপকারী’ জ্ঞান আলাদা করে বিশ্লেষণ করেছেন, এবং বলেছেন যে অনেক সময় মানুষ জ্ঞানের অহংকারে ধ্বংস হয়।

🎓 “উপকারী জ্ঞান” বনাম “শুধু তথ্যভিত্তিক জ্ঞান” : আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার বাস্তবতা

📌 ১. লক্ষ্যহীন শিক্ষা বনাম আল্লাহভিত্তিক শিক্ষা

এই দোয়ার মূল বক্তব্য — আমরা এমন জ্ঞান চাই যা উপকারী। ইসলামের দৃষ্টিতে উপকারী জ্ঞান এমন যা:

  • আল্লাহকে চেনায়
  • আমলকে সংশোধন করে
  • সমাজে কল্যাণ আনে
  • আখিরাতের সফলতার পথ দেখায়

🧭 অথচ আমাদের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে:

  • শিক্ষা কেবল চাকরি ও উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে শেখানো হয়
  • আল্লাহ, আখিরাত, আত্মশুদ্ধি এসবের আলোচনা প্রায় অনুপস্থিত
  • জ্ঞান আত্মশক্তি না হয়ে, প্রতিযোগিতার অস্ত্র হয়ে দাঁড়ায়

❝যে শিক্ষায় আল্লাহ নেই, তা কেবল চাকরি দেয়, নাজাত দেয় না।❞

📌 ২. উপকারীতা নির্ধারণের মানদণ্ড কোথায়?

🔍 উপকারীতা ইসলামের দৃষ্টিতে এমন কিছু:

  • যা মানুষকে হালাল-হারাম বোঝায়
  • যা নৈতিকতা গড়ে তোলে
  • যা আত্ম-উন্নয়ন ঘটায়, অহংকার জাগায় না

📉 কিন্তু আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায়:

  • মানুষ জানে কীভাবে “কিছু হতে হয়”, কিন্তু “কে হওয়া উচিত” তা শেখে না
  • আধুনিক শিক্ষা তথ্যভিত্তিক, কিন্তু চরিত্র গঠনমূলক নয়
  • উপকারীতা মানে শুধু ক্যারিয়ার, না যে এটা নৈতিকভাবে উপকারী কি না

📌 ৩. ধর্মীয় শিক্ষা ও সাধারণ শিক্ষার মধ্যে বিভাজন

🔀 আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিয়ান দোয়াটি সব জ্ঞানকে “নাফি” ও “গইরু নাফি” — এই দুই ভাগে ভাগ করে দেয়। ইসলামি শিক্ষায় এটাই মানদণ্ড।

কিন্তু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায়:

  • ইসলামি জ্ঞান “মৌলিক” নয়, বরং “অতিরিক্ত বিষয়” হিসেবে বিবেচিত
  • দ্বীন ও দুনিয়া আলাদা পথে হাঁটে, অথচ কুরআন বলে –
    “وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ” (আমি মানুষ ও জিনকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদতের জন্য – সূরা যারিয়াত: ৫৬)

📚 সত্যিকারের “ইলমুন নাফি” সেই শিক্ষা, যা দুনিয়ার জ্ঞানকেও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ব্যবহার করতে শেখায়।

📌 ৪. পরীক্ষার চাপ বনাম উদ্দেশ্যপূর্ণ অন্বেষণ

📖 ইসলামী শিক্ষায় “তালবুল ইলম” বা জ্ঞানার্জন একটি ইবাদত, একটি উদ্দেশ্যমূলক সাধনা।
কিন্তু বর্তমান শিক্ষায়:

  • মুখস্থ, রেটিং, সিজিপিএ—সবই বাহ্যিক
  • হৃদয়ে প্রভাব না রেখে কেবল মস্তিষ্কে ঠেসে দেওয়া তথ্য
  • শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক ব্যবসায়িক ও ফলাফলকেন্দ্রিক

❝উপকারী জ্ঞান চেতনাকে জাগায়, পরীক্ষায় নম্বর পাওয়ার জন্য শেখা জ্ঞান কেবল ক্লান্তি বাড়ায়।❞

✅ তাহলে সমাধান কী?

📍 শিক্ষা ব্যবস্থাকে “উপকারী জ্ঞান” কেন্দ্রীক করতে হলে:

  • আখিরাতমুখী চিন্তা শিক্ষা কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে
  • নৈতিকতা, আমল, তাকওয়া—এই ভিত্তিতে শিক্ষা দিতে হবে
  • শিক্ষকের চরিত্র ও নিয়্যত—একে জ্ঞান হালাল/নাফি বা গইরু নাফি করে তোলে
  • দ্বীনি ও দুনিয়াবী জ্ঞানের মাঝে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে হবে

📚 উপসংহার

আজকের এই জ্ঞান-বহুল কিন্তু অর্থহীন যুগে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন “ইলমুন নাফি”—উপকারী জ্ঞান। এমন জ্ঞান যা অন্তরকে জাগ্রত করে, আমলকে সুসজ্জিত করে এবং আখিরাতের পাথেয় তৈরি করে। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর শেখানো এই সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর অর্থবোধক দোয়া আমাদের জীবনের প্রতিদিনের সাথী হোক।


পোস্টটি শেয়ার করুন
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x