ইসলামে ব্যক্তিগত আকর্ষণ ও প্রেম শুধু বিবাহের উদ্দেশ্যে গ্রহণযোগ্য। ইসলাম প্রেম বা শারীরিক সম্পর্ককে বিবাহবহির্ভূত হারাম বলে বিবেচনা করে sharebusiness24.com sharebusiness24.com। সুতরাং, বিবাহের আগের “অবৈধ প্রেম” থেকে বিরত থাকতে হবে। হাদিসে এসেছে, “বিয়ে করা হয় চার কারণে – সম্পদ, স্বজন, সৌন্দর্য বা ধর্ম; এসবের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ধর্মনিষ্ঠা”sunnah.com। তাই ভবিষ্যৎ স্ত্রী-স্বামীর ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ গুণ হল তার ধর্মনিষ্ঠা – এটি এড়িয়ে প্রেমের আবেগে পড়ে ভুল পথে ভ্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
অন্যদিকে কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে দোয়া করা আল্লাহর বিধানবিরুদ্ধ। মুসলমানদের মৌলিক নীতি হলো অন্যকে ক্ষতি না করা। হাদিস অনুযায়ী, যে ব্যক্তি প্রতিবেশী বা অন্যমানে অন্যকে কটু কথা বলতে গিয়ে তাদের ক্ষতিসাধন করে, তার কোনো কল্যাণ নেই এবং তার স্থান কঠোর শাস্তিতে islamweb.net। এমনকি এমন ব্যক্তির সব সওয়াবগুলো ক্ষতিপূরণপ্রাপ্তের দিকে স্থানান্তরিত হবে islamweb.net। তাই প্রেমের মানুষকে “পাগল করার” (অর্থাৎ মানসিক বা অনুরাগের পথে বাধা দেয়ার) প্রার্থনা অত্যন্ত অনুচিত ও গোনাহ।
ভালোবাসার মানুষকে পাগল করার দোয়া
ভালোবাসার মানুষকে পাগল করার কোনো দোয়া নেই। ভালোবাসার মানুষকে পাগল করার দোয়া – এই বাক্যটি দ্বারা প্রকৃতপক্ষে আপনি দুটি পাপ করেছেন। প্রথম পাপ হচ্ছে ভালোবাসা বা প্রেমের সম্পর্ক। এটি ইসলামের একটি বড় পাপ হিসেবে গণ্য। ইসলাম বিবাহ বহির্ভূত সব রকম সম্পর্ককে হারাম হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কাজেই এই ভালোবাসা হারাম।
আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে পাগল করা। কাউকে পাগল করা এটি দ্বিতীয় আরেকটি পাপ। কেননা মানুষকে পাগল করে তার স্বাভাবিক জীবন যাত্রা থেকে বিঘ্ন ঘটানো এটি কারো জন্যই উচিত নয়। এটি কেবল ইসলাম নয় বরং পৃথিবীর সকল ধর্ম ও মতবাদ অনুযায়ী একটি অন্যায় কাজ।
তাছাড়া তৃতীয় যে ভুলটি আপনি করছেন সেটি হচ্ছে আপনার দুটি পাপের জন্য দোয়া করছেন বা দোয়া অনুসন্ধান করছেন। আপনাকে বুঝতে হবে দোয়া হয় কেবল ভালো কাজের জন্য। কোন খারাপ কাজ বা পাপের কাজের জন্য দোয়া করা যায় না। যদি কোনো ব্যক্তি জেনে-বুঝে কোন পাপ কাজের জন্য দোয়া করেন, তাহলে তার ঈমান নিয়ে প্রশ্ন এসে যাবে।
কাজেই আপনাকে এ ধরনের দোয়া সন্ধান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে আপনি যদি সত্যিই কাউকে পছন্দ করেন আর তাকে বিয়ে করতে চান তাহলে আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’আলার কাছে সেই মানুষকে বিয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য দোয়া করতে পারেন। এর জন্য কী দোয়া করবেন বা কখন করবেন তা নিয়ে আমরা এই আর্টিকেলে আলোচনা করছি।
সঠিক প্রার্থনা ও দোয়ার গুরুত্ব
দোয়া সবসময় ভালো ও পুণ্যের উদ্দেশ্যে করতে হয়। আল্লাহর কাছে পাপের জন্য দোয়া করতে শয়তানের কৌশল বলা যেতে পারে। বরং বিপদ বা সংকটে পড়লে রাসূল ﷺ ও সাহাবাগণ যেভাবে দোয়া করেছেন, আমরাও তেমনই করি। উদাহরণস্বরূপ, যমজেবি (আল-ইমরান ৩:১৭৩–১৭৪) নোবীর সময়কার যুদ্ধের ভয় দেখালে মুহাম্মদ ﷺ-এর সঙ্গীরা বলেছিলেন, “আল্লাহ আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনি সমস্ত বিষয়ের সর্বোত্তম পরিচালক”aliftaa.jo। এই দোয়াটি অত্যন্ত প্রশংসিত, যা সমস্ত বিপদে আল্লাহর ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরতা প্রকাশ করে।
অপর হাদিসে আলী রাদিঃ-বিল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ এক সাজি (দাস)কে মুক্তি পাওয়ার পথ দেখানোর জন্য বলেছিলেন একটি দোয়া; সেই দোয়ায় ছিল:
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
“হে আল্লাহ! আমাকে আপনার হালাল দিয়েই যথেষ্ট করো, যাতে আমি হারাম থেকে বাঁচতে পারি, এবং আপনার অনুগ্রহে অন্য কারো মুখাপেক্ষী হওয়া থেকে রক্ষা করো।”sunnah.com.
এই হাদিস আমাদের শিক্ষা দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া আর কারও কাছে ভরসা করাটা অসম্ভব এবং অন্য কারো মাধ্যমে ফলাফল আশা করা শির্কের সমান।
তাই ভালোবাসার মানুষকে পাগল করার বদলে তার কল্যাণে সহায়ক দোয়া করা উচিৎ। জীবনের সঙ্গীর জন্য দোয়া করতে গিয়ে ব্যাক্তিগত লোকের নাম না দিয়ে আল্লাহর পরিকল্পনার উপর ভরসা রাখাই শ্রেয়। যেমন দেখা গেছে, অনেক সময় আমরা যাকে পছন্দ করি তিনি আসলে আমাদের জন্য কল্যাণকর নাও হতে পারেন। ইতিহাসে প্রমাণিত: আল্লাহ নবী ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের অগ্নিবাসনেও “আল্লাহ আমাদের জন্য যথেষ্ট…” বলে স্মরণ করেছিলেন aliftaa.jo।
বিয়ের জন্য দোয়া ও তার উদাহরণসমূহ
বিবাহের জন্য দোয়া করলে তা গ্রহণের আশা বাড়ে। কুরআন ও সুন্নাহতে বিয়ের দোয়ার বহু উদাহরণ পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, কুরআনে আল ফুরকান ২৫:৭৪ এ প্রার্থনা আছে:
“ওরা যারা বলে: ‘হে আমাদের রব, আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের আমাদের চোখের আনন্দের কারণ বানাও, এবং আমাদের মুত্তাকীদের ইমাম (নেতা) করে দাও।’”quran.com
আর কুরআন ২৮:২৪-এ মূসা আলাইহিস সালাম শরণাপন্ন হয়েছেন, “হে প্রভু, তুমি আমাকে যে সব কল্যাণ দান করেছ তার জন্য আমি সত্যি মুখাপেক্ষী।”quran.com।
আল-আমিন নবী ﷺ নিজেও জীবন্ত উদাহরণ দিয়ে গেছেন। নবীজি বলেন, “নারী বিয়ের জন্য চারটি কারণে বিবেচিত হয়… অনুগ্রহ সে যে ধর্মশীল, তাকে বিয়ে করো; নাহলে তোমরা পরাজিত হয়ে যাবে।”sunnah.com। অর্থাৎ সৎ ও ধর্মপ্রাণ জীবনসঙ্গী পাওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিয়ের আগে কেউ যদি বলি “এই মেয়েটিকে বা ছেলেটিকে আমি ভালোবাসি”, তবে তার পরিবর্তে আল্লাহর হাতে বিষয়টি ছেড়ে দিয়ে দোয়া করা শ্রেয়। যেমন হাদিসে আলী রাদি.-বিল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবী ﷺ ফাতিমা ও আলীর বিয়ের সময় আলীকে বলেছিলেন: “হে আলী, তোমার হাত রাখো ফাতিমার মাথায় এবং বলো,
‘اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا هِيَ لَهُ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا هِيَ لَهُ’”ikhwanonline.com।
তার অর্থ, “হে আল্লাহ, আমি আপনার নিকট তার কল্যাণ এবং তার নিয়তি অনুযায়ী কল্যাণ চাই, এবং তাঁর অপকার ও তাতে থাকা অপকার থেকে আপনার সাহায্য চাই।” এটিও একটি বিখ্যাত সুন্নাহপ্রদ দোয়া।
এই দোয়া ও আমাদের এশার্জন প্রার্থনা একত্রে করলে সঙ্গীপুরুষের জন্য সহায়তা বাড়ে। আরও কয়েকটি সাধারণ দোয়া:
- দোয়া ১: “رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا … قُرَّةَ أَعْيُنٍ” – “হে আমাদের রব, আমাদের স্ত্রী এবং সন্তানদের আমাদের চোখের শান্তি করো…”quran.com।
- দোয়া ২: “رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ” – “হে আমার প্রভু, আপনি আমাকে যে কল্যাণ দিয়েছেন, আমি তার প্রতি সত্যিই চাহিদাবোধ করি।”quran.com।
- দোয়া ৩: “اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ زَوْجَةً صَالِحَةً تُعِينُنِي عَلَى أَمْرِ دِينِي وَدُنْيَايَ।” – হাদিসসমূহে পাওয়া যায়, “হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট নেককার জীবনসঙ্গীর দোয়া করছি, যিনি আমার দ্বীন ও দুনিয়া দুটোতেই আমার সহায় হবেন।”
- দোয়া ৪: “اللَّهُمَّ بَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ।” – এই বিখ্যাত কুনূত দোয়ায়, “হে আল্লাহ! আপনি যা দিয়েছেন তাতে আমাকে বরকত দাও, এবং যা ঠিক করেছেন তার অপকার থেকে আমাকে রক্ষা কর।”islamqa.info।
- দোয়া ৫: “اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ…” – উপরের আলী রাদিঃ-এর বর্ণিত হাদিসের দোয়া, যা “হে আল্লাহ! আমাদের আপনারই হালাল তোমার মাধ্যমে যথেষ্ট রাখ এবং আমাদের অন্য কারও উপর অপেক্ষা করতে না হয় তার জন্য তেমন সাহায্য দাও।”sunnah.com।
এই দোয়াগুলো নিয়মিত পড়তে থাকুন এবং খাস নামের পরিবর্তে আল্লাহর পরিকল্পনাকে এগিয়ে রাখুন। কারণ আমরা জানি না ভবিষ্যতে কোন জীবনসঙ্গী আমাদের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট হবে। অতএব আল্লাহর নিকট “যার কল্যাণ আমার জন্য সবচেয়ে উপযোগী” সেই সঙ্গীর জন্য দোয়া করা ভালো aliftaa.josunnah.com।
বিশেষ সময় ও পরিস্থিতিতে দোয়া
ইসলামের বহু সংবিদান অনুযায়ী কিছু সময় দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যেমন:
- রাতের শেষ তৃতীয়াংশে দ্বীনীয় রুহানীতার জন্য ইবাদতের পর দোয়া কবুলতা বেড়ে যায় aboutislam.net।
- আজান ও ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়ে দোয়া করলে সওয়াব দ্বিগুণ হয় aboutislam.net।
- নামাজের সুজুদে– সকলে দাবি করেন, সদা আল্লাহর নিকট গড়ানো প্রতীক্ষার মুহূর্ত হলো সুজুদ। তাই এতে বিশেষ প্রার্থনা উপকারী aboutislam.net।
- জুমার দিনে ইমামের খুৎবা শেষ হওয়ার সময় এবং আসরের পর থেকে মাগরিবের আগ পর্যন্ত সময়টুকু দোয়াবার্ষিত মুখে থাকা সময় বলা হয়েছে aboutislam.net।
- বর্ষার সময় (আব্রহীন বৃষ্টি) আল্লাহর রহমতের নমুনা, তাই সেই সময় দোয়া কবুল হওয়ার আশাই থাকে aboutislam.net।
- এছাড়া রাতে জেগে ওযু করে দোয়া করা, জুমজুমের পানি পান করার সময় বা রমজানে বিশেষ মুহূর্তেও দোয়া করা খুবই সুফলদায়ক aboutislam.net aboutislam.net।
আপনার সাধ্যমতো এগুলো অনুসরণ করুন, যাতে দু’আ কবুলের সম্ভাবনা বাড়ে। তবে মূল কথা হলো প্রকৃত বিশ্বাস ও একাগ্রতা নিয়ে আল্লাহর দরবারে হস্ততোলন করা।
ভুল পন্থা পরিহার করুন
কোনো আলেম বা সাইজদারকে টাকা দিয়ে দোয়া করানো ইসলামে নিষিদ্ধ। দোয়া তো নিজ মনের এবং আল্লাহর সাথে ব্যক্তিগত সংযোগের বিষয়। শরীয়তে স্পষ্ট যে, স্রষ্টা একমাত্র আল্লাহ, সমস্ত পাওয়ার ও পরিকল্পনার অধিকারী। আলী ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, যখন মহানবী ﷺ-মহান বিপদ সম্পর্কে শুনে বলেছিলেন, “আল্লাহ (আমাদের) জন্য যথেষ্ট, তাঁর চেয়ে উত্তম কেউ নেই।”aliftaa.jo। এ থেকেই শিক্ষা, দোয়ায় আল্লাহ ছাড়া কাউকে অধিক গুরুত্ব দেবেন না।
আর যাদের মাজার-মসজিদ নিয়ে ভুল ধারণা, তাদের প্রতি এও উল্লেখযোগ্য যে – কুরআন ও হাদিস স্পষ্টভাবে জানায় কেবল আল্লাহই দোয়ায় ক্ষমতাবান। আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে ভরসা করলে সেটি শির্কের সমান islamweb.net aliftaa.jo। অতএব অন্য কাউকে উৎসাহিত করে আপনার মন খুলে না পড়তে বলুন।
উপসংহার: প্রেম যদি সত্য, পরিপূর্ণ, এবং ইসলামের বিধান মেনে থাকে, তাহলে বিয়ের মাধ্যমে তার প্রকাশ হওয়া উত্তম। আল্লাহর কাছে সৎ ও কল্যাণকর জীবনসঙ্গী প্রার্থনা করুন। লেখকের দেয়া কুরআনসূত্র ও সুন্নাহময় দোয়া-উদাহরণগুলো অনুসরণ করলে আল্লাহ আপনাকে উপযুক্ত সহচর দিবেন ইনশা আল্লাহ quran.com sunnah.com। সঠিক ও পরিশুদ্ধ দোয়া করুন এবং সবসময় আল্লাহর পরিকল্পনায় সন্তুষ্ট থাকুন।

কীভাবে ভালোবাসার মানুষকে পাগল করার দোয়া করবেন?
প্রথমে আমরা বলেছি যে ভালোবাসার মানুষকে পাগল করার আসলে কোন দোয়া নেই বরং এরকম কোন দোয়া সন্ধান করা একটি পাপ। তবে আমরা উপরে যেটা বলেছি আপনি ভালোবাসার মানুষকে পাগল করার পরিবর্তে যাকে আপনি পছন্দ করে তাকে বিয়ের জন্য দোয়া করতে পারেন।
এখানে আপনি দোয়ার সময় তার নাম উল্লেখ করে দোয়া করতে পারেন। প্রথমত কুরআনের যে দোয়াগুলো আমরা দিয়েছি সেগুলো আপনি করবেন। অতঃপর বাংলায় আপনি দোয়ার সাথে সংযুক্ত করতে পারবেন। আপনার মন থেকে যা ইচ্ছে সেটা আপনি বলবেন, সেখানে আপনি যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছেন তার নাম সংযুক্ত করে দিবেন।
তবে দোয়ার ক্ষেত্রে উত্তম হচ্ছে আপনি যাকে পছন্দ করছেন তার নাম উল্লেখ না করে বরং আপনি আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার কাছে এভাবে দোয়া করবেন যে, আপনার জন্য যে ব্যক্তি উত্তম তাকে তিনি আপনার জন্য জীবনসঙ্গী হিসেবে নির্বাচন করে দেওয়ার জন্য।
এটার উপকার হলো যে, আমি যাকে চাইব সে আমার জন্য কল্যাণকর হবে কিনা সেটা আমি জানি না। কেননা আমরা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জ্ঞান রাখি না। কিন্তু আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তায়ালা জানেন যে, কোন ব্যক্তি আমার জন্য দুনিয়া এবং আখেরাতে কল্যাণকর হবে। তাই যখন আল্লাহ আমার জন্য কোন ব্যক্তিকে নির্বাচন করে দিবেন সেটা আমার জন্য অধিক কল্যাণকর হবে।